বিএনপির কাছে নিজেদের দলের লোকই নিরাপদ নয়-সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম

রংপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার

২১ জুন ২০২৫, ১২:১৪ এএম | আপডেট: ২১ জুন ২০২৫, ১২:১৪ এএম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বিএনপির কাছে নিজেদের দলের লোকও নিরাপদ নয়। এক বিএনপি আরেক বিএনপিকে খেয়ে ফেলছে। তাদের ছাত্র সংগঠন মূল দলের কাছে চাঁদা না পেয়ে নেতাদের হাত-পা ভেঙে দিয়েছে। যাদের কাছে নিজেদের দলের মানুষই নিরাপদ নয়, তাদের হাতে দেশের সাধারণ মানুষ কিভাবে নিরাপদ থাকবে?

তিনি শুক্রবার (২০ জুন) সন্ধ্যায় রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে ইসলামী আন্দোলন রংপুর মহানগর আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, যে দলের একটি অঙ্গসংগঠনকে আরেকটি অঙ্গসংগঠনকে চাঁদা দিতে হয়, তাদের হাতে কোনো ব্যবসায়ী নিরাপদ থাকতে পারে না। যারা খুন-খারাবি করে, তাদের হাতে মানুষের জানমাল নিরাপদ নয়। বিএনপি এমন একটি দল, যারা নিজেরাই কাউন্সিল করতে পারে না, নিজেদের শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারে না। তারা যদি রাষ্ট্র পরিচালনায় আসে, দেশের মানুষ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? যারা মেয়র নির্বাচনের আগেই সিটি কর্পোরেশন ভবন দখল করে নেয়, তাদের হাতে মানুষের জানমাল ও ইজ্জত নিরাপদ হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, দেশের নতুন ভোটারদের শতকরা ৩৮ ভাগই জানে না ধানের শীষ কী। তারা জিয়াউর রহমানের আদর্শ শুনতে চায় না। নতুন প্রজন্মকে বিএনপি যদি বলে তাদের আদর্শ চাঁদাবাজি, খুন, দখলদারিত্ব, জুলুম-নিপীড়ন—তবে তারা আর কাকে দেখাবে? তিনি বলেন, পত্রিকায় এসেছে—ইশরাক সাহেবের পক্ষে রায় আনতে বিচার বিভাগে চাপ দেওয়া হয়েছে। জোর করে নিজেদের পক্ষে রায় আদায় করেছে বিএনপি। যারা বিচার বিভাগে প্রভাব খাটায়, তাদের হাতে বিচার বিভাগও নিরাপদ নয়।

মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, বাংলাদেশে আরেকজন আবু সাঈদ কতবার জন্ম নেবে? আমরা আর এক ফোঁটা রক্ত দিতে চাই না অবৈধ ব্যক্তিদের ক্ষমতায় আনার জন্য। খুনি-চাঁদাবাজদের আর ক্ষমতায় দেখতে চাই না। দেশের মানুষ ইনসাফপ্রিয়, আল্লাহভীরুদের ক্ষমতায় আনতে চায়। কারণ, তাদের হাতে কারও রক্ত নেই, তারা ধর্ষণ-ইভটিজিং করে না।

গণসমাবেশে জুলাই মাসে সংঘটিত গণহত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার, আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা, দুর্নীতিবাজ ও অর্থপাচারকারীদের বিচার করে জাতীয় রাজনীতি থেকে অযোগ্য ঘোষণা, নারী কমিশনের মতো ইসলাম, দেশ ও সমাজবিরোধী প্রতিষ্ঠান বাতিল, প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে সংখ্যানুপাতিক জাতীয় নির্বাচন ব্যবস্থা চালু এবং ইসলামী শাসনব্যবস্থা প্রবর্তনের দাবি জানানো হয়।

ইসলামী আন্দোলন রংপুর মহানগরের সভাপতি মাওলানা হাফেজ আব্দুর রহমান কাসেমীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী অকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাফেজ এম. হাসিবুল ইসলাম, সুলতান মাহমুদ, রংপুর জেলা সভাপতি এটিএম গোলাম মোস্তফা বাবুসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশ থেকে রংপুর বিভাগের ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেন মুফতি ফয়জুল করীম। প্রার্থীরা হলেন: